রাজধানীর মতিঝিল থানার ফকিরাপুলে ও কদমতলী থানায় পৃথক ঘটনায় দুই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ও দিবাগত রাতে ওই দুই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মতিঝিল ও কদমতলী থানা পুলিশ দ্য রিপোর্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
মতিঝিল থানা পুলিশ জানায়, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মতিঝিলের ফকিরাপুলে ফাইভ স্টার নামে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে সালমা নামে (১৬) এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মতিঝিল থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) মো. সৈয়দ আলী দ্য রিপোর্টকে জানান, খবর পেয়ে রবিবার বিকেলে ওই আবাসিক হোটেলের ৬০৪ নম্বর রুম থেকে সালমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুমের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলো তার মরদেহ।’ তবে সালমার রুমের দরজা খোঁলা ছিল বলেও তিনি জানান।
মতিঝিল থানার এই কর্মকর্তা আরও জানান, মৃত সালমা ভোলা লালমোহন উপজেলার ডাহরি বাজার গ্রামের হাবলুর মোল্লার মেয়ে। রবিবার সকাল ৯টার দিকে একাই হোটেলে উঠেছিল সালমা।’ মরদেহের ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে, কদমতলীতে একটি বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তাসমিন (১৬) নামে এক মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী ।
রবিবার (১ আগস্ট) রাতে কদমতলী থানার মদিনাবাগ নুরানি মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়ির পঞ্চম তলায় ফ্যানের সঙ্গে সে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় ।
তাসমিনের বাবা তুষার শেখ গণমাধ্যমে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে তাসমিনের মনোমালিন্য হয় । পরে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ঘটনা জানার পর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।