করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিভাগে দৈনিক মৃত্যুসংখ্যা থামছেই না। এই বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনার মৃত্যুমিছিলে প্রতিদিনই নতুন নতুন মরদেহ যোগ হচ্ছে। শনাক্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। করোনা রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভাগের করোনা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান চিকিৎসালয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল।পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা থেকেও করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছেন এই হাসপাতালে।
বুধবার (৪ আগস্ট) গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৪ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো দৈনিক করোনা রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল ৮ টার মধ্যে তাদের করোনায় মৃত্যু হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়।
বুধবার (৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো রামেক হাসপাতাল রিপোর্টে বলা হয় ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ১৪ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ জন, নাটোরের ৪ জন, নওগাঁর ৩ জন, কুষ্টিয়ার ১ জন ও চুয়াডাঙ্গার ১ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ জন, নওগাঁর ১ জন ও নাটোরের ১জন করোনা পজিটিভ আক্রান্ত ছিলেন। রাজশাহীর ১ জন ও কুষ্টিয়ার ১ জন করোনা নেগেটিভ শনাক্ত ছিলেন। মৃত অন্য ৮ জন করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয় ‘বুধবার (৪ আগস্ট) গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। এনিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৪০২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ও করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। এদিন গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন বলেও রিপোর্টে জানানো হয়।
রামেক হাসপাতালের রিপোর্টে আরও বলা হয়, বুধবার (৪ আগস্ট) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি মোট ৪০২ জন রোগীর মধ্যে রাজশাহীর ১৭৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৬ জন, নাটোরের ৬১ জন, নওগাঁর ৩২ জন, পাবনার ৭৭ জন, কুষ্টিয়ার ৯ জন, চুয়াডাঙ্গার ৫ জন, সিরাজগঞ্জের ৩ জন, মেহেরপুরের ১ জন, বগুড়ার ২ জন ও ঝিনাইদহের ১ জন রয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪০২ জন রোগীর মধ্যে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত ১৮৮ জন, সন্দেহভাজন ১৩৫ জন ও ৭৯ জন নেগেটিভ রোগী রয়েছেন।