রাজাকারদের তালিকা করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, সংসদে বিল পাশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৩০, ২০২২, ০৫:০৬ এএম

রাজাকারদের তালিকা করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, সংসদে বিল পাশ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ নেওয়া রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা তৈরির সুযোগ রেখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন নতুন করে প্রণয়নের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২’ পাসের প্রস্তাব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক।  পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

প্রস্তাবের আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত ত ৫ জুন বিলটি সংসদে তোলেন মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংসদে উত্থাপিত বিলে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা’ এই আইনে গৃহীত হবে বলে উল্লেখ ছিল। তবে সংসদীয় কমিটি সেই সংজ্ঞা পূর্ণাঙ্গভাবে বিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বিদ্যমান আইনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কিছু বলা নেই।

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, “১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাহারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থাকিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যকলাপ দ্বারা নিরীহ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করিয়াছেন অথবা একক বা যৌথ বা দলীয় সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যক্ষভাবে, সক্রিয়ভাবে বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন তাহাদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করবে।”

নতুন আইনে কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১২ জন করা হয়েছে। আগের আইনে ছিল ৯ জন। কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

কাউন্সিলের আটজন সদস্য প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবেন, যিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হবেন।

উপদেষ্টা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন। পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিবেচনা করতে হবে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবও এ পরিষদে থাকবেন।

Link copied!