রাসেলের রক্তস্নাত স্মৃতির বেদীতে গড়ে উঠুক মানবিক বিশ্ব: জয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যারা নির্মমভাবে খুন হয়েছিলেন তাদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট সদস্য ছিলেন শেখ রাসেল।

শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডে নিজের ভেরিফাইড  ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র  এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়  এক পোস্ট দিয়েছেন।  

 ‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড: প্রকৃতিও যেন কেঁপে উঠেছিল সেইরাতের বর্বরতায়’ শিরোনামে সোমবার রাতে দেওয়া ওই পোস্টে জয় বলেছেন, শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ড প্রকৃতিও যেন কেঁপে উঠেছিল সেইরাতের বর্বরতায়।  ‘পৃথিবীর আর একটি শিশুরও যেন এমন নির্মম মৃত্যু না হয়’— পোস্টে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের পাঠক ও দর্শকদের জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়ের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকাণ্ডঃ প্রকৃতিও যেন কেঁপে উঠেছিল সেইরাতের বর্বরতায় ।

রাসেলের সেই আকুতি ঢাকা পড়ে গেলো নরপিশাচের অট্টহাসি আর ব্রাশফায়ারের শব্দে। মাথার খুলি উড়ে গেলো, চিরতরে কণ্ঠ থেমে গেলো শিশু রাসেলের। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর, তার পাখির মতো অবুঝ শিশুটির শরীরেও অজস্র বুলেট গেঁথে দিলো দেশদ্রোহী ঘাতকচক্র।

পৃথিবীর আর একটি শিশুরও যেনো এমন নির্মম মৃত্যু না হয়। নিরাপদে বেড়ে উঠুক দেশের প্রতিটি শিশু। রাসেলের রক্তস্নাত স্মৃতির বেদীতে গড়ে উঠুক একটি মানবিক বিশ্ব।

শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর 'শেখ রাসেল দিবস' পালন করছে বাংলাদেশ।‘

পোস্টে একটি ভিডিও যুক্ত করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ভিডিওটিও দর্শকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের আজকের দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা  বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে মাত্র ১১ বছরের দুরন্ত এই শিশুটিকে হত্যা করে।

• বিষয় :
• শেখ রাসেল