আগস্ট ৪, ২০২১, ০২:৩০ পিএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানায় লাগা আগুনে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার দাফন ও সৎকারের জন্য ২৫ হাজার করে টাকা পাচ্ছে। বুধবার (৪ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহতদের লাশ হস্তান্তরের সময় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নারায়ণগঞ্জের এডিসি এস এম মাহফুজুর রহমান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই অর্থ প্রদান করা হয়।
পরিচয় শনাক্তের পর ঢামেকে বুধবার ২৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত ১ আগস্ট পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক শাখা অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করে। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আজ ২৪ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আগামী শনিবার (৭ আগস্ট) আরও লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় তারা।
এর আগে গত ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রূপগঞ্জ ভুলতা কর্ণগোপ এলাকার হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার ৭ তলা ভবনের নিচতলায় অগ্নিকাণ্ডে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। নিহত তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকি লাশগুলো আগুনে এতটাই পুড়ে যায় যে দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। ফলে পরিচয় শনাক্ত না হওয়া লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়।
এদিকে নিহতদের পরিবার কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। শনিবার (১০ জুলাই) রাতে ইমেইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়। আবেদনে প্রত্যেক পরিবারকে এক কোটি টাকা ও আহতদের ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ ও আহতদের জন্য ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।