নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে 'হাসেম ফুডস' কারখানার আগুন লাগার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পরও এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভোরে আগুন কমে এলেও পরবর্তীতে আবারও আগুন জ্বলে ওঠে কারখানার ভেতরে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে ৫০ জনের লাশ বের করে নিয়ে আসে ফায়ার সার্ভিস বিভাগ।
শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আগুনে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ। অন্যদিকে দুপুর ১টার পর ৫০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন। দুপুর ১টার দিকেও ভবনের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় এখনও আগুন দেখা যাচ্ছে। কেমিকেল পদার্থ থাকায় এখনও আগুন জ্বলছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলায় ভবনটি ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভবন ধসের আশংকায় আশেপাশের গলি ও রাস্তায় চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার রাতে মৃত দুই নারীর পরিচয় জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তারা হলেন- সিলেট জেলার যতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৩৪) এবং রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। এ ছাড়া রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। তার নাম মোরসালিন (২৮) বলে জানিয়েছেন মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। মোরসালিনের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর সুবেদপুর গ্রামে। বাবার নাম আনিসুর রহমান। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, জুসসহ কোমল পানীয় তৈরির এ কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টাার দিকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তে আগুনের শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ছয়তলা ওই কারখানার নিচতলা, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আগুন জ্বলতে থাকে। আগুন কীভাবে লাগল- সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি।