ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটল কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। অগ্নিকাণ্ডে হাজারো ঘর পুড়ে গেছে। পুলিশ বলছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তবে কিছু সূত্র দাবি করছে, বেশ কয়েকজন মারাও গেছেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সোমবার বেলা তিনটার দিকে বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে শিবির লাগোয়া ৮–ডব্লিউ ও এইচ, ৯ ও ১১ নম্বর শিবিরেও। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জোনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছুদ্দৌজা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় ৯ হাজার ৬০০ ঘর পুড়ে গেছে। আর কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ছোটাছুটি করতে গিয়ে ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ও রোহিঙ্গারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, অধিকাংশ ঘর থেকে কোনো ধরনের মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।