এপ্রিল ৫, ২০২২, ১১:২২ এএম
দায়িত্ব পালনকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ মন্তব্য করেছেন।
‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছর ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ওই নিষেধাজ্ঞার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল ঢাকা। ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
র্যাব হয়ত কখনো কখনো ‘অতিরিক্ত বা বেশি কিছু করে’ ফেলেছে- এমন বক্তব্য বৈঠকে দেওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তবে ইনবিল্ট সিস্টেম আছে জবাবদিহিতার এবং অনেকের শাস্তি হয়েছে। এমনকি লাইফ একজিকিউশনও হয়েছে। সুতরাং এখানে জবাবদিহিতা আছে।”
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকে র্যাব গঠন এবং নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী চার মাসে এলিট ফোর্সের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন মোমেন।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “আমি বললাম, র্যাবটা আমাদের দেশে এমন সময়ে তৈরি হয়েছিল, যখন আমাদের দেশে সন্ত্রাস, জিহাদি- এগুলোর উৎপাত খুব বেশি ছিল।”
“একদিনে ৪৯৫টা বোমাবাজি হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়, যার ফলে ২৪ জন লোক মারা যায়, ৩৭০ জন আহত হয়। সারাদেশে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল, ওই সময়ে তৈরি হয়েছিল।”
র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা ওদের প্রসেস আছে। এটা আমাদের কমপ্লিট করতে হবে।”
“এই দেশে প্রায় জিনিসেরই দেয়ার আর মেনি প্রসেসেস… ওই কমিটির ওই লোকগুলোকে সন্তুষ্ট করতে হবে… এটাতে সময় লাগবে। সুইচের মত না যে এক দিনে অন আর অফ করতে পারবে।”