২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে চাপাতির কোপে প্রাণ হারান ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়। ওই সময় আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও। সেদিন রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ওই ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পরদিনই শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলার রায় হতে যাচ্ছে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি।
এরমধ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মারা গেছেন অভিজিতের শিক্ষাবিদ বাবা অধ্যাপক অজয় রায়। ছেলের হত্যার বিচার তিনি আর দেখে যেতে পারলেন না।
অভিজিৎ হত্যা মালার রায় পেতে ৬ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে এ মাসেই। মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের ওই তারিখ নির্ধারণ করেন।
বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ছয় আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তারা খালাস পাবেন বলে তারা আশা করছেন।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বই মেলার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় লেখক অভিজিৎ রায়কে চাপাতির কোপে হত্যা করা হয়। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। ওই বছরের ১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
মামলার আসামিরা হলেন: সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (বহিষ্কৃত) জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস্ ও শাফিউর রহমান ফারাবী।
মেজর জিয়া এবং আকরাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। অন্য চার আসামি এখন কারাগারে আছেন। এদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল।