ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের লঞ্চঘাট এলাকাসহ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। এই এলাকায় যানবাহনেরও বাড়তি চাপ রয়েছে। ঘাটে প্রায় চার থেকে পাঁচ শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে আছে।
সীমিত পরিসরে নৌযান ও ফেরিতে যাত্রী চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও, পরিবার-পরিজন নিয়ে গাদাগাদি করে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন সবাই।
অন্যদিকে, মাওয়া লঞ্চঘাট এলাকায়ও রয়েছে ঘর ফিরতি মানুষের ভিড়। লঞ্চগুলোও অধিক যাত্রী নিয়ে রওনা দিচ্ছে।
শিমুলিয়া (মাওয়া) বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে মাওয়া-বাংলাবাজার ও মাওয়া-মাঝিকান্দি নৌ রূটে ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। অন্যদিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রূটে চলছে ১৩টি ফেরি।
বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাটের নৌ পরিদর্শক মো. সোলায়মান গণমাধ্যমকে জানান, শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে আজকে ৮৩ টি লঞ্চ যাত্রী পারাপার করছে। লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী অর্ধেক যাত্রী বহন করা হচ্ছে। যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে উঠতে ও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী যাতে না উঠতে পারে সে জন্য লঞ্চঘাটগুলাতে ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আজকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ১৩ টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও পরিবহনের চাপ রয়েছে। এছাড়া ফেরিঘাটে প্রায় তিন-চার শতাধিক গাড়ি আটকা রয়েছে।