সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে বিএনপির সাংসদ মোশাররফ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট থাকলেও বর্তমানে সেশনজট প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ২৩-২৪ বছরের মধ্যেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে থাকে। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তাদের চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না’।
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়িয়ে ৫৭ হতে ৫৯ করায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। ফলে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তীব্র প্রতিযোগিতারও সৃষ্টি হবে। এতে ৩০ বছরের বেশি বয়সীরা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও ৩০ এর কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। এসব কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা আপাতত বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
তবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিসিএস ছাড়া বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখ নির্ধারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ সাধারণ বয়সসীমা ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক আর বিশেষ কোটার ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ৩২ বছর। সরকারি ছাড়াও আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেও একই বয়সসীমা অনুসরণ করা হয়। আর চাকরি থেকে অবসরের সাধারণ বয়সসীমা ৫৯ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে তা ৬০ বছর। বিচারকদের ক্ষেত্রে ৬২ বছরের নির্দেশ আছে আদালতের।