মার্চ ২০, ২০২৩, ০৯:০০ এএম
কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওই বৈঠকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরণের আবেদন ও প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, সোমবারের বৈঠকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখাসহ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোয় গতি আনা, অভিবাসন খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং দেশটিতে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া, কর্মী নিয়োগসংক্রান্ত অনলাইন পদ্ধতি যুক্ত করার বিষয়েও দুই দেশের মদ্যে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফরে এসেছিলেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল। পরের দিন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশটিতে কর্মী পাঠানোর গতি বাড়াতে এবং অভিবাসন খরচ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে দুই দেশের মধ্যকার সমঝোতা স্মারকে পরিবর্তন আনা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার। ওই সাক্ষাতে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে শনিবার (১৮ মার্চ) নতুন করে বিদেশি কর্মী নেওয়ার সব ধরনের আবেদন ও প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার ওই দিন এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, “ফরেন ওয়ার্কার এমপ্লয়মেন্ট রিল্যাক্সেশন প্ল্যানে (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন ১৮ মার্চ থেকে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। নিয়োগকর্তারা ৯ লাখ ৯৫ হাজার শ্রমিকের কোটা অনুমোদন দেওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে ভি শিবকুমার আরও বলেন, “নিয়োগকর্তাদের আগের অনুমোদিত কর্মীদের প্রবেশ নিশ্চিত করার পরই স্থগিতাদেশ পর্যালোচনা করা হবে। আমরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত নির্মাণ, পরিষেবা, উৎপাদন, কৃষি, খনন, খনি এবং বৃক্ষরোপণসহ মোটামুটি সবখাতেই ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬ জন শ্রমিককে অনুমোদন দিয়েছি।”
বিবৃতিতে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য যে কোটা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ শিল্পকারখানায় শ্রম চাহিদা মেটানো সম্ভব বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী।