জুলাই ৩, ২০২২, ০৪:৪২ পিএম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “কোনভাবেই সড়ক-মহাসড়কে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না এবং ফিটনেসবিহীন গাড়িতে পশু পরিবহন করা যাবে না।”
রবিবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা হাস্যকর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল। অথচ দেশের মানুষ ভালো করেই জানে, কোন দল সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক, কাদের রাজনৈতিক দর্শনে সন্ত্রাসনির্ভরতা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসের জন্মদাতা, লালনকর্তা বিএনপি। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের নির্মম-নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রত্যক্ষ মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল।
“এদেশে আগুন সন্ত্রাস আর জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ অপসংস্কৃতিও তারা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা জনবিচ্ছিন্ন, যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, যারা অপরাজনীতির কারণে জনপ্রত্যাখ্যাত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার।” যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জনআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে জনভিত্তির মধ্য দিয়ে কিংবা জনগণের সংগঠিত প্রয়াস হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠা হয়নি- এক নিষ্ঠুর স্বৈরশাসকের বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি একটি সন্ত্রাসনির্ভর ও ষড়যন্ত্রমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত।
শুধু দেশেই নয়, কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শুধু সন্ত্রাসনির্ভরতাই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিবিরোধী অপশক্তি হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিএনপি’ বলেও মন্তব্য করেন কাদের। বলেন, ‘তাদের বোঝা উচিত কথামালার বৃষ্টিতে এদেশের জনগণের মন ভেজে না। জনগণ মুখোশের অন্তরালে থাকা তাদের প্রকৃত চেহারা চেনে ও জানে।- বলেন সেতুমন্ত্রী।