সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও মাদক চোরাচালান রোধে তুরস্কের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে কাউন্টার টেরোরিজম এবং সিকিউরিটি কো-অপারেশন নিয়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শনিবার রাতে সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সোলু বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা হয়েছে। আমাদের পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার সব ডিপার্টমেন্টেই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন এবং আমাদের কোনো প্রয়োজন থাকলে সেগুলোও তারা দিয়ে সহযোগিতা করবেন।”
মন্ত্রী বলেন, “আমরা ট্রেনিংয়ের কথা বলেছি, আমরা ইন্টেলিজেন্ট শেয়ারের কথা বলেছি। আমরা সাইবার ক্রাইম দমনের কথা বলেছি। আমরা কথা বলেছি, আমাদের পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি, আনসারকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য। তারা সবগুলোতেই একমত হয়েছেন।”
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তুরস্ক আগেও যেমন ভূমিকায় ছিল, এখন তেমন শক্ত ভূমিকায় আছে। তারা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য তো বটেই, যেসব রোহিঙ্গা আছে তারা তাদের সহযোগিতা করে যাবেন।”
এর আগে, শনিবার সকালে বাংলাদেশে একদিনের সফরে আসেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সোলু। তিনি সকালে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর বিকেলে ঢাকায় আসেন। বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর ডা. এনামুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন। শনিবার রাতেই তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।