মানুষের জন্য সহজে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে কাজ করেছেন দেশের কয়েকজন প্রকৌশলী। তারা ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ উদ্ভাবনের ফলে ঘরে বসেই করোনার ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছে মানুষ। মহামারিকালে তাদের এই সময়োপযুগী ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই পাঁচ প্রকৌশলীকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রোগ্রামার এবং সুরক্ষা কোর টিম সদস্য প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ, প্রকৌশলী মো. গোলাম মাহবুব, প্রকৌশলী এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রহমান এবং প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ বিন ছালাম।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি), ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির উদ্যোগে আইইবি কাউন্সিল হলে (নতুন ভবনের ২য় তলা) এই “সম্মাননা স্মারক প্রদান” অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, “এই সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করে দেশের অর্থ যেমন তারা বাঁচিয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের ভোগান্তিও অনেকটা লাঘব করেছে। এই অ্যাপ তৈরির জন্য আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।”
সংবর্ধিত প্রকৌশলীদের সম্মুখ সারীর যোদ্ধা বলে অভিহিত করে আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার বলেন, “এটি শুধু সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় ও জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপির জন্য।”
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আইইবি, ঢাকা কেন্দ্রের আইসিটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য-সচিব ও কাউন্সিল সদস্য, আইইবি, ঢাকা কেন্দ্র প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদুল হাসান বলেন, “সুরক্ষা অ্যাপ তৈরি করা আইসিটি সেক্টরের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ ও অর্জন। এটা কম্পিউটার প্রকৌশলীদের কারিগরী দক্ষতা ও অবদানের ফসল। কিন্তু দেশে পেশাগতভাবে কম্পিউটার প্রকৌশলীরা সবথেকে অবহেলিত।' বিসিএস চাকরিতে আইসিটি ক্যাডার তৈরির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান তিনি।”