মার্চ ৬, ২০২৩, ০৪:০৯ পিএম
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৩ জনের ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে মরদেহ ময়নাতদন্ত করেন প্রভাষক ডা. ফাহমিদা নার্গিস।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত করা হয়। এর আগে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান আলী।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাদের তিনজনেরই মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম রয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোথাও দগ্ধ হয়নি। ভবনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংসাবশেষ তাদের শরীরের ওপর পড়ায় তাদের মৃত্যু হয়।
বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- নরসিংদী জেলার বেলাবো উপজেলার বটেশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে সাদিকুর রহমান তুষার (৩১)। রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুলদী গ্রামের মৃত গোমেদ শেখের ছেলে সফিকুজ্জামান (৪৪) ও গাজীপুরের টঙ্গী কোনাপাড়া এলাকার মফিজউদ্দিন খলিফার ছেলে আবদুল মান্নান (৬৩)।
এ দুর্ঘটনায় মৃত সাদিকুরের ভাই সফিকুর রহমান জানান, বর্তমানে সবুজবাগ বাসাবো কদমতলা এলাকায় থাকতেন সাদিকুর। শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় নিউ জেনারেশনের এইচআর অ্যাডমিনে কর্মরত ছিলেন তিনি।
মৃত মান্নানের স্ত্রী শাহিদা বেগম জানান, তারা লালবাগ পোস্তা ইয়াছিন ব্যাপারীর গলিতে থাকেন। তার স্বামী নিউ জেনারেশন কোম্পানির পিয়নের কাজ করতেন।
মৃত সফিকুজ্জামানের বড় ভাই মহিউদ্দিন জানান, তার ভাই সাভার গেন্ডা এলাকায় থাকতেন। নিউ জেনারেশন কোম্পানির কম্পিউটার অপারেটরের কাজ করতেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে সায়েন্স ল্যাবে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে ৩ জন নিহতের পাশাপাশি দগ্ধ হন ৫ জন। আর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন অন্তত ১৫ জন। তবে ভর্তি রাখা হয়েছে ৪ জনকে।
এদিকে বিস্ফোরণের পর প্রায় ৫০ জন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। গুরুতর অবস্থায় শফিকুজ্জামান, আবদুল মান্নান ও তুষারকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরে সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।