জুন ১৬, ২০২২, ১০:৪৯ এএম
ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে সিলেটে আবারও একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা তলিয়ে গেছে। বুধবার বিকেলে তিনটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। এখনো তা অব্যাহত আছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে, এক দিনের ব্যবধানে চারটি পয়েন্টে সিলেটের নদ-নদীর পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করেছে। কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি গতকাল বিকেলে বিপত্সীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
গোয়াইনঘাটের অন্তত ১০ জন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে দুই থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত পানি ঢুকেছে। নিম্নাঞ্চলে ঘরের ছাদ ছুঁই ছুঁই করছে পানি। উপজেলার ফতেহপুুর ও জাফলং ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ও নলজুরির টিলা এলাকা ছাড়া ১২ ইউনিয়নের ৯০ শতাংশই বন্যাকবলিত।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ১২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৯ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপরে।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন আছে। নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় এসব ইউনিয়নের ১৩৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে ৬টি ইউনিয়নেরই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলা পরিষদ, থানাসহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সদরের অধিকাংশ দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ রোড, থানা রোড ও ভূমি অফিস রোড পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়কে নৌকা দিয়ে মানুষজন চলাচল করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, গত কয়েক দিন আগে শেষ হওয়া বন্যা পরিস্থিতির চেয়েও এখন পানি বেশি এসেছে। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও দোকানপাটসহ অসংখ্য স্থাপনা তলিয়ে গেছে। তবে বন্যাকবলিতদের দুর্ভোগ কমাতে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।