নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যৌতুক না পেয়ে চাপাতি দিয়ে স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় মো. রফিক (৩১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার র্যাব-১১ ও র্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রফিক ধারালো চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ঘটনার পর রফিক তার স্ত্রীকে বাসায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে ১৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার বরাত দিয়ে তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে গ্রেফতার রফিকের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর রফিক ব্যবসার জন্য স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এনে দিলেও আরও এক লাখ টাকার জন্য রফিক প্রায়ই স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মারধর করে রফিক স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, রফিকের শ্বশুর পুনরায় যৌতুকের টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাই গত ডিসেম্বরে রফিক স্ত্রীকে পুনরায় ফতুল্লায় ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। কিন্তু যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রফিক ধারালো চাপাতি দিয়ে তার স্ত্রীর ডান হাতের কব্জি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। ঘটনার পর রফিক তার স্ত্রীকে বাসায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান এবং গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। পরে র্যাব-১১ ও র্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রফিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।