ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আলোচিত ইউটিউবার মো আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) প্রচার চালাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন।
বুধবার (৫ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে সাততলা বস্তিতে প্রচার চালাতে গেলে হিরো আলম ও তার কর্মী-সমর্থকদের প্রথমে বাধা প্রদান ও পরে মারধর করা হয়। পরে হিরো আলম রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা লিখিত পেয়েছি। কর্তৃপক্ষকে দেবো। তারা যা নির্দেশনা দেবেন তাই হবে। মৌখিকভাবে বলেছেন তিনি যে প্রচার চালাতে দেনননি। আঘাতও করেছে। আচরণ বিধি ভঙ্গ হয়েছে কিনা আমরা সেটা দেখবো।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, “অভিযোগ তো মাত্র পেলাম। তদন্ত করবো, তারপর ব্যবস্থা নেবো।” সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন।
এর আগে মারধরের শিকার হিরো আলম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, “বুধবার সাততলা বস্তিতে প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী বস্তির গেইটে দাঁড়িয়ে বলল তোমরা ঢুকতে পারবে না। আরাফাত (নৌকার প্রার্থী) ভাইয়ের ভোট করবো (প্রচার চালাবো)। এর পর আমরা যখন ঢুকতে চাচ্ছি তখন মহিলারা আমাদের গায়ে হাত তুললো। একজন এখন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তারা ইট মেরেছে,জুতো মেরেছে, গায়ে হাত তুলেছে “
এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, “তারা বুঝাচ্ছে যে নৌকা ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেবে না। আজকেই যদি এমন পরিস্থিতা হয়, তাহলে ভোটের দিন ডাইরেক্ট বলবে নৌকা ছাড়া কোনো ভোট হবে না। ডাইরেক্ট নৌকায় সিল মারবে। আজকে ভোটারদের কাছে পৌঁছতে দিল না। ভোটের দিন আমাকে ভোট দিতে দেবে-এই বিশ্বাস হারায়ে গেছে।”
প্রসঙ্গত, আসছে ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকরব হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।