মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদুল ফিতর ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে হিলি ইমিগ্রেশেন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের পাসপোর্ট যাত্রী যাওয়া আসা করতে পারবেন। অপরদিকে সরকারি ছুটি ব্যতিত হিলি কাস্টমস ও বন্দরের সকল কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানিয়েছে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, “আগামী ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। সেই সঙ্গে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ অথবা ৩ মে হতে পারে ঈদুল ফিতর। এ কারণে আগামী ১-৫ মে পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব প্রকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ৬ মে শুক্রবার বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এমনিতেই বন্ধ থাকবে। আগামী ৭ মে পুনরায় বন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হবে।”
এদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদিউজ্জামান বলেন, “সরকারি ছুটিতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন টেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।”
অপরদিকে, হিলিস্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার কামরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন,“ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ঘোষণা করা ছুটি অনুযায়ী হিলি কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বাকি দিন কাস্টমসের সব কার্যক্রম খোলা থাকবে। এ ছাড়া কাস্টমসের ব্যাগেজ কার্যক্রম প্রতিদিন খোলা থাকবে।” ব্যবসায়ীরা পাঁচ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় কাস্টমসের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান।