দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দরসহ পুরো এলাকায় এক সপ্তাহ পর আবারও ঘনকুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে চারপাশ। এ এলাকায় বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরার পাশপাশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তীব্র শীতের সঙ্গে ঠান্ডা হিমেল বাদাস বইছে। এতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্তও সূর্যের দেখা মেলেনি।প্রচণ্ড শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন সকালে সামান্য পরিমাণ কুয়াশা থাকলেও শনিবার কুয়াশার পরিমাণ অনেক বেশি। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না যানবাহন। বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন গণমাধ্যমে জানান, শনিবার দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কি:মি: তবে বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।
এছাড়াও, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭.৫, সৈয়দপুর ৮.০, রংপুর ৯.২, ডিমলা ৮.৯, নওগাঁ ৮.০, রাজশাহী ৮.৯, চুয়াডাঙ্গা ৯.০, শ্রীমঙ্গল ৭.৬, ডিগ্রি তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় ৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বলেও তিনি জানান।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, “চলমান শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগামী ২/১ দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে সামান্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।” কিছু কিছু স্থানে শৈত্যপ্রবাহ কমতে শুরু করবে বলেও তিনি জানান।