জুলাই ৩১, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম
আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাংলাদেশি এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর এক সদস্যকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বনগাঁও মহকুমা আদালতে রমেশ্বর আদালতে অভিযুক্ত রমেশ্বর কায়াল নামে বিএসএফের ওই জওয়ানকে হাজির করে পুলিশ অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতের চিফ পাবলিক প্রসিকিউটর সমীর দাসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে আরও বলা হয়, ‘কায়ালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ কাস্টডিতে তাকে দুই দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে। সিআরপিসির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর জবানবন্দি নিয়েছেন।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে আটক করে ক্যাম্পের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিএসএফ’র ওই সদস্য ধর্ষণ করে। পরে ওই নারী বনগাঁ থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
বনগাঁও থানা পুলিশের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুই নারী গাইঘাটার নিকট ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। তখন ১৫৮ বিএসএফ জওয়ানরা তাদের আটক করে। ওই দুই নারীর বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়।
এদিকে, গাইঘাটা থানায় করা মামলায়ে ওই নারী উল্লেখ করেছেন যে, বিএসএফ জওয়ানরা তাদের দুজনকে খড়ের মাঠ বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে রমেশ্বর কায়াল নামের ওই বিএসএফ জওয়ান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এরপর এক পর্যায়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। তখন আশেপাশে কেউ ছিল না।
মামলার অভিযোগে ওই নারী বলেছেন, ‘আমি ও আমার বান্ধবী গুজরাটে শাড়ির ব্যবসা করি। একজন দালালের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম। পার করে দিতে ওই ব্যক্তি আমাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার রুপি নিয়েছিল। কিন্তু বিএসএফ আমাদের ধরে ফেলে। পরে রাতে আমাকে একা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং ধর্ষণ করা হয়।’
তবে এবিপি আনন্দের খবরে বলা হয়, বিএসএফের হেফাজতে থাকাকালীন সেখানেই দুই মহিলার একজনকে শ্লীলতাহানি ও অন্যজনকে ধর্ষণ করেন কর্তব্যরত বিএসএফের এসআই রমেশ্বর কয়াল।
বিএসএফ ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাওয়ার পর গাইঘাটা থানায় যান ওই নারী এবং মামলা করেন। পুলিশ ওই বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে। পরে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার জন্য ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ।