আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার মধ্যরাতে শুরু হয় গোলাগুলি।
কক্সবাজার ও বান্দরবানের ৩১ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ মর্টার শেলের বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। অনেকে আশ্রয় নেন বড় গাছের নিচে।
আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উলুবনিয়া পর্যন্ত অন্তত ৫০ কিলোমিটার সীমান্তে মর্টারের গোলা ও গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।
আজ সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ। তিনি বলেন, টানা ১১ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল রাত সোয়া একটার দিকে গুলি বর্ষণ করা হয়। থেমে থেমে মর্টার শেল ছোড়া হয়।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে জাহাঙ্গীর আজিজ তিনি বলেন, টানা ১১ দিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় লোকজন স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেছিলেন। অনেকে খেতখামারে নেমে চাষাবাদ শুরু করেন। গোলাগুলির শব্দে কৃষকদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, গোলাগুলির শব্দ শোনার খবর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি জেনেছেন। সীমান্তের ৩০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের ব্যাপারে খোঁজ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁদের সরিয়ে আনা হবে।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, সীমান্তে বিজিবি সতর্ক আছে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠোকাতে কঠোর অবস্থানে আছে বিজিবি।
রোহিঙ্গা নেতারা জানান, গভীর রাতে গোলাগুলি শুরু হলে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এর আগে মিয়ানমারের পাহাড় থেকে ছোড়া মর্টারের গোলা আশ্রয়শিবিরে এসে পড়লে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়।