আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ১৪ কোটি কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা শিল্পের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, চা উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এর চাহিদাও বাড়ছে। বিদেশেও বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা তেমন রফতানি করা যাচ্ছে না। চায়ের উৎপাদন বাড়িয়ে রফতানির চেষ্টা করা হচ্ছে। রবিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে জুম প্লাটফর্মে ‘বাংলাদেশের চা শিল্প: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ সব কথা বলেন।
উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চায়ের উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দেবে। চায়ের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। চা শিল্পে বঙ্গবন্ধুর স্পর্শ আছে। তিনি চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। চা শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। বর্তমান সরকারও এবিষয়ে সচেতন রয়েছে, চা শিল্পের উন্নয়নে কাজের ধারা অব্যাহত রেখেছে। নতুন চায়ের বাগান বৃদ্ধি, নতুন জাত উদ্ভাবণ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ন্যায়্যমূল্য নিশ্চিত করে যথাযথ বাজারজাত করণের বিষয়ে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।’
দিন দিন চা উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে
মন্ত্রী আরেও বলেন, ‘২০২৫ সালে চায়ের সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা হবে ১২৯ মিলিয়ন কেজি। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ১১ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করা সম্ভব হবে। চা বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি পণ্য হবে বলে আশা করা যায়। আমাদের চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। গত ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২০ সালে ২২টি দেশে মোট ২.১৭ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করেছে, যা ২০১৯ সালের রফতানির তুলনায় প্রায় ২৬০% বেশি। দেশের উত্তরাঞ্চলে চা উৎপাদনে আশাব্যাঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দিন দিন চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা চালালে চা শিল্পের রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
ড. মঈদউদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি এম শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি শাহ মঈনুদ্দীন হাসান। এ ছাড়া পঞ্চগড় টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হকসহ চা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।