তামাক পন্যের সব মোড়কে সচিত্র সতর্কবানী থাকার কথা বাধ্যতামূলক হলেও ১৮ শতাংশ মোড়কেই তা দেখতে পাওয়া যায় না। ৮২ শতাংশ মোড়কে সতর্কবাণী দেখা গেলেও এর মধ্যে ৪০ শতাংশ মোড়কে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। সম্প্রতি টোব্যাকো কন্ট্রোল সেল ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণা রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
রবিবার (৯ জানুয়ারী) রাজধানীর ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
২০২১ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭০টি সিগারেট, ৬৭টি বিড়ি, ৭৬৪টি জর্দ্দা ও ৮৭টি গুলসহ ১ হাজার ২৮৮টি তামাক পণ্যের ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কের মধ্যে ৩৭৪টি কাগজের মোড়ক, ৩০৯টি টিনের কৌটা, ২৭৮টি প্লাস্টিকের কৌটা, ১৬০টি পলি প্যাকেট, ৬৭টি বড় মোড়ক ও ৪৬টি কার্টন ছিল।
গবেষণায় দেখা য়ায়, ৮২ শতাংশ তামাক পণ্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবাণী থাকলেও মাত্র ৪০ শতাংশ পণ্যের মোড়কে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় স্বাস্থ্য সতর্কবাণী। এছাড়া ২৫ শতাংশ মোড়কে ব্র্যান্ড এলিমেন্ট, ৫ শতাংশ মোড়কে আইনে প্রদত্ত ছবি না দিয়ে পাশ্ববর্তী দেশের ছবি, ২১ শতাংশ মোড়কে আগের মেয়াদের ছবি, ৭২ শতাংশ মোড়কে উপরের দিকে ছবি না দিয়ে নিচের দিকে ছবি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ৬৩ শতাংশ মোড়কে উভয়পাশেই ছবি নেই, ১০ শতাংশ মোড়কে ছবি আছে লেখা নেই, ৭৫ শতাংশ মোড়কে ছবি ও লেখার অনুপাত ৬ঃ১, ২১ শতাংশ মোড়কে সাদা কালো জমিনে সাদা অক্ষরে লিখিত বার্তা নেই। অন্যদিকে, ৮ শতাংশ মোড়কে সতর্কবাণী ঢেকে রাখা, ৭৩ শতাংশ বিড়ির মোড়কে সতর্কবানী ঢেকে রাখা ও ৫০ শতাংশ মোড়কে শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত এই মর্ম লেখা নেই।
গবেষণাটি গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, চাঁদপুরসহ ২৪ টি জেলায় চালানো হয়।