১৯৯৮ সালে বাড়ি দেখলেও আসতে পারেন নাই, এবার আসবেন বলে খুবই খুশি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ১০:১৪ পিএম

১৯৯৮ সালে বাড়ি দেখলেও আসতে পারেন নাই, এবার আসবেন বলে খুবই খুশি

‘যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ১৯৮৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বাড়ি দেখতে পারলেও আসতে পারেন নাই; এবার বঙ্গবন্ধুকন্যা আমার বাড়িতে আসবেন বলে আমি খুবই খুশি’-এমনই উচ্ছ্বস আর আনন্দ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সোমবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের কামালপুরে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, “টুঙ্গিপাড়া কতবার গিয়েছি তা হিসাব করে বলতে পারব না। যতবারই সেখানে গেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে রিসিভ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কাল মিঠামইনে আসছেন এবং আমার বাড়িতেও আসবেন। এজন্য আমি খুবই খুশি।”

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, “আমি যখন ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী ছিলাম তখন বঙ্গবন্ধু আমার পক্ষে প্রচারণার জন্য মিঠামইনে এসেছিলেন। তখন এমন পরিবেশ বা সুযোগ ছিল না যে বঙ্গবন্ধু আমার বাড়িতে আসবে। মিঠামইন বাজার থেকে আমি বঙ্গবন্ধুকে আমার বাড়ি দেখিয়েছিলাম।”

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন,  “বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও ১৯৯৮ সালে আমার বাড়ি কোথায় এটা দেখছেন। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আসতে পারেন নাই। তিনি হাসপাতালের সামনে হেলিপ্যাডে নেমেছিলেন। কিশোরগঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করার জন্য দুটি রিকশা এনেছিলাম। হেলিপ্যাড থেকে কিছু পথ রিকশা ধাক্কা দিয়ে ও কিছু পথে হেঁটে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাড়িতে আর নিয়ে আসতে পারিনি। কিন্তু এখন আমার বাড়ির কাছেই হেলিপ্যাড। সমাবেশও আমার বাড়ির সামনে। তিনি আমার বাড়িতে আসছেন এ জন্য আমি খুবই খুশি।

 

প্রসঙ্গত,পাঁচ দিনের সফরে সোমবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কামালপুরে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার দীর্ঘ দুই যুগ পরে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে যাচ্ছেন। ওইদিন সকাল ১০টায় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়ি মিঠামইন সদরের কামালপুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

Link copied!