২৭ মাস পর আবারও চালু হয়েছে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৯, ২০২২, ১০:১০ এএম

২৭ মাস পর আবারও চালু হয়েছে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস

২৭ মাস পর আবার চালু হয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। রবিবার (২৯ মে) সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকা-কলকাতা আন্তর্জাতিক রেলপথে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করে। এদিন একইসঙ্গে খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, যুগ্ম মহাপরিচালক সালাউদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও স্টেশন মাস্টার লিটন চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।

স্টেশন মাস্টার লিটন চন্দ্র বলেন, যথাসময়ে ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রীরা আগের মতোই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা করতে পারবে। এ বিষয়ে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, ২৭ মাস বন্ধ থাকার পর ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং একইদিন খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চলাচল শুরু হলো।

শফিকুল ইসলাম বলেন, বাসযাত্রায় ভোগান্তি বেশি আর বিমানে খরচ বেশি। তাই নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম বলেই প্রথম পছন্দ ট্রেন। গত ২৩ মে (সোমবার) থেকে কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে আন্তর্জাতিক ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া রেলপথের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। 

ঢাকা-কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০০৮ সালে। বন্ধ হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের সব দিনই এই ট্রেন চলাচল করত।  অপরদিকে খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালে। বাংলাদেশ থেকে বৃহস্পতিবার ও রবিবার দুই দিন এই ট্রেন ছেড়ে যায়। ভারত থেকেও আসবে দুই দিন। 

রেলওয়ে অপারেশন দপ্তর জানায়, মিতালী এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এসি বার্থের ভাড়া ৪ হাজার ৯০৫ টাকা। এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৮০৫ টাকা। আর এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৭০৫ টাকা।

খুলনা-কলকাতা রেলপথের দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। এ রুটের যাত্রীপ্রতি ট্রেন ভাড়া ট্রাভেল ট্যাক্সসহ (৫০০ টাকা) এসি সিট দুই হাজার পাঁচ টাকা ও এসি চেয়ার এক হাজার ৫০৫ টাকা। ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। এ রুটের যাত্রীপ্রতি ট্রেন ভাড়া ট্রাভেল ট্যাক্সসহ (৫০০ টাকা)। এসি সিট তিন হাজার ৫০৫ টাকা ও এসি চেয়ার দুই হাজার ৫০৫ টাকা। এতোদিন যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে  রেলপথে পণ্য পরিবহন অব্যাহত ছিলো। 

 

Link copied!