জানুয়ারি ২৫, ২০২৩, ০৪:১৮ পিএম
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি এবং গ্যাস, তেল, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আসছে ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১৪ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত সমাবেশ শেষে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এই ঘোষণা দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে সভাপতির বক্তব্যে মান্না বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঘে ধান খাওয়ার মতো স্বীকার করেছেন, র্যাব মানুষ মেরেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি, অবস্থা ঠিকঠাক হয়ে গেছে। এখন থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বিবৃতি দিয়েছে, এমন কোনো কথা তাদের সঙ্গে হয়নি।”
অন্যের কাছে ভিক্ষা করা ছাড়া এই সরকারের এখন বাঁচার কোনো উপায় নেই-উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, “যে সরকারের টাকা নেই, সেই সরকার আবার কিসের সরকার প্রশ্ন করে তিনি বলেন, এই সরকার এখন ভিক্ষা করার জন্য একবার আইএমএফের কাছে যায়, একবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে যায়, একবার এডিবির কাছে যায়।”
সমাবেশে বাকশালের সমালোচনা করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “মাত্র তিন মিনিটে আজকের এই দিনে জাতীয় সংসদে বাকশাল গঠনের আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে মাত্র তিনটি দলকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রথম রাজনৈতিক পরাজয় ঘটে।” ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর,ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন ।