জুন ১, ২০২৩, ১০:৩৯ এএম
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে আজ। প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে সাত লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এবারের বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’।
এটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটের অন্যতম আলোচিত বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ। গত বছর বাংলাদেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ঋণের আবেদন করলে এ বছরের শুরুর দিকে তারা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। কিন্তু আইএমএফ সাড়ে তিন বছরের জন্য মোট ৩৮টি শর্ত দিয়েছে, যার অর্ধেকের কম আগামী অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মধ্যে আছে সুদহারের ক্ষেত্রে করিডর পদ্ধতি তৈরি, রিজার্ভের যথাযথ গণনা পদ্ধতি প্রণয়ন, মুদ্রা বিনিময় হারের একক দর রাখাসহ কয়েকটি শর্ত পূরণের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলোর কিছু বাস্তবায়নের ঘোষণা আসবে আগামী জুন মাসে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময়, কিছু আসবে জুলাই মাসে। আইএমএফের চাওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জিডিপির আকার ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে ৫ লাখ কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ঘাটতি থাকছে। ঘাটতি বাজেট পূরণে দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ ও অনুদান নেওয়া হবে। নতুন অর্থবছরে জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।