এপ্রিল ৯, ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম
সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুর চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর তাঁর স্বামীসহ সাত আসামির বিচার শুরু হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর মধ্য দিয়ে। মামলায় মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন আদালতে সাক্ষী হিসেবে প্রথম জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাবুল আক্তার ‘পরকিয়ার জেরে’ এবং ‘পরিকল্পিতভাবে অন্য আসামিদের টাকা দিয়ে’ মিতুকে ‘খুন করিয়েছে’ বলে সাক্ষ্যে দাবি করেছেন মিতুর বাবা।
রবিবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষ্য দেওয়া শেষে আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিতুর বাবা। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাবুল আক্তার পরকীয়ার কারণে ষড়যন্ত্র করে মিতুকে হত্যা করেছে। আসামিদের সাথে গোপনে বৈঠক করেছে, তাদের টাকা দিয়েছে। তারপর হত্যা বাস্তবায়ন করেছে। এই বিষয়টি আজ সাক্ষ্যে বলেছি। এরপর আসবে আমার মামলার প্রশ্ন। সে বিষয়ে সাক্ষ্য এখনও হয়নি।”
সাক্ষ্য শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, “এটা পরিকল্পিত একটা হত্যাকাণ্ড। বাবুল আক্তার যে পরিকল্পনা করেছেন, অন্যান্য আসামিদের যে প্রস্তুত করেছে পরিকল্পিত একটা হত্যাকাণ্ডের জন্য, সেটাই আজকের সাক্ষ্যে এসেছে। আজকের সাক্ষ্যে প্রতীয়মান, মিতুকে হত্যায় বাবুল আক্তার যে পরিকল্পনা করেছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসপি বাবুল তার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনায় ব্যাপকভাবে আলোচনা শুরু হয় দেশে।