দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। বিরোধী দলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোনো স্পেস পাচ্ছে না। শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বাবার কুলখানি অনুষ্ঠান শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। কারণ এটা একটা জবরদস্তিমূলক দখলদার সরকার। সব নির্বাচনকে তারা তাদের মতো করে পরিচালনা করেছে। নির্বাচন কমিশনকে তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে একটা বশংবদ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচনকে প্রতারণার নির্বাচন বলা হয়েছে। জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব এখানে নেই’।
এসময় তিনি নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও বিএনপির অবস্থান পরিস্কার করেন।
ফখরুল বলেন, একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে এই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। ফলে কেবল বিএনপিই নয়, সব রাজনৈতিক দলই একটা ভয়াবহ সংকট অতিক্রম করছে।
দলের অভ্যন্তরীণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে গৃহে অন্তরীণ করে রাখার পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দলকে এখন সুসংগঠিত করা হচ্ছে। সবগুলো অঙ্গ সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সাংগঠনিক কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছি। এসেছি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপাতত আমরা দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করছি না’।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।