‘মুজিববর্ষে আরো এক লাখ পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হবে’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১, ০৭:২৬ পিএম

‘মুজিববর্ষে আরো এক লাখ পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হবে’

মুজিববর্ষে গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে সারাদেশে প্রায় ৮ লাখ পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে উপহার দিবে সরকার। সেলক্ষ্যে এরইমধ্যে ৭০ হাজার পরিবাররের জন্য ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে তা বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে। এ গৃহনির্মাণ প্রকল্পে আরো ১ লাখ পরিবারকে জমিসহ ঘর করে দেয়ার জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (সিসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র ও কউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। এদিন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠান হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে এই মুজিববর্ষ উপলক্ষে অতিরিক্ত ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ করার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছি। আমরা আরো এক লাখ ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা সার্ভে করে দেখেছি একটা মানুষও যাতে দেশে গৃহহীন না থাকে।’

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে নিজ নিজ এলাকায় গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়নের আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এলাকায় দেখবেন কোন লোক গৃহহীণ আছে কিনা, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবেন, আমরা কিন্তু ঘর করে দেব। একটি মানুষ গৃহহীণ থাকবেনা, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘২০২০ সালে মুজিববর্ষ থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ২০২১, ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় নিয়েছি এবং সেই সময়ের মধ্যে আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ ঘর পাবে, তাঁদের ঠিকানা পাবে। বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।’

শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব জায়গায় গ্রিড লাইন রয়েছে সেখানে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ইতোমধ্যে শেষ হলেও যেসব জায়গা দুর্গম এবং গ্রিড লাইন নেয়া সম্ভব নয়, সেসব জায়গা সোলার প্যানেল ও সাবমেরিন কেবলের সহায়তায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।’

জনপ্রতিনিধিদেরকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহবান জানানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরে থাকতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজের পাশাপাশি অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই এটা করতে হবে।’

Link copied!