‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ইডিসি প্রকল্প

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ১২:৩৪ এএম

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ইডিসি প্রকল্প

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প। ২০২২ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবহার সম্প্রসারণ করবে ইডিসি।

সরকার ইতোমধ্যে ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছে। ইডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন, তৃণমূল পর্যায়ে ভৌত অবকাঠামো শক্তিশালী করা, প্রতিভা কাজে লাগানো, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করা, জনগণের ডিজিটাল জীবনকে সহজ করা এবং আইসিটির উন্নয়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার আগারগাঁও আইসিটি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোস্তফা কামাল। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,  গেস্ট অব অনার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (সাবেক) সেলিমা খাতুন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ইডিসি’র প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)।

ইডিসি প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক পর্যায়ে ১ লাখ ৯ হাজার ২৪৪টি ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন, দশ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি,  ৫৭টি বিশেষায়িত ল্যাব ও ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, ৫শ’ ৫৫টি জয় ডি সেন্টার স্থাপন, কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার, সফটওয়ার প্লাটফর্ম, ১৭ হাজার ৩১৪টি সার্ভিস ডেলিভারি ডিভাইস ও ৫ হাজার ৫শ’ এনরোলমেন্ট ডিভাইস বিতরণ, ১০টি ডিজিটাল ভিলেজ রূপান্তর, ২১ তলা বিশিষ্ট আইসিটি টাওয়ার নির্মাণ এবং বিশ হাজার মৎস্য খামারিকে ড্রোন দেওয়া হবে।

সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় প্রচেষ্টায় আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে  ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এগিয়ে যাবে।

ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’র রূপরেখা করতে পেরেছি।’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চারটি ভিত্তি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তা হচ্ছে- ডিজিটাল সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। এই চার ভিত্তি সামনে রেখে এগোতে হবে বলে জানান ইডিসি প্রকল্প পরিচালক।

Link copied!