হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বাংলাদেশের চেতনার বেদীমূলে ও সরকারের ওপরও হামলা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি করে তারা সরকারের ওপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো সরকারের সাথে হিন্দু সম্প্রদায় এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারীরা এই হামলাগুলো করেছে।’
বিএনপি-জামাত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে মন্তব্য কেরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভোটের সময় ভারতবিরোধী শ্লোগান কারা দেয়, এই বিএনপি দেয়। হিন্দু সম্প্রদায়কে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া বারণ কারা করে, এই বিএনপি-জামাতই করে।’
তদন্তে বেরিয়ে এসেছে একজন মুসলমান যুবক কোরআন শরিফ পূজামণ্ডপে রেখে এসেছিল জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে ধরা পড়লে বোঝা যাবে কার ইন্ধনে সে এটি করেছে। সবকিছু যখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মুখটা চুপসে যাবে।’
সরকার দেশকে বিরোধীদলশূণ্য করতে চায়’ মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। আমরা মনে করি, শক্তিশালী বিরোধী দল গণতন্ত্রকে সংহত করে। দু:খজনক হচ্ছে আমরা চাইলেও বিএনপি শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপির জোট থেকে অনেকেই পালিয়ে যাচ্ছে, বিএনপির রাজনীতিও অনেকে ছেড়ে দিয়েছে।’
কুমিল্লা ও পীরগঞ্জের বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন,‘বাংলাদেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। সুতরাং যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো দুষ্কৃতিকারীরা ঘটিয়েছে এবং এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’ এর প্রেক্ষিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেটি সরকার দমন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ধামইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. দেলদার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আব্দুল মালেক।