১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পরবর্তী স্বৈরশাসনামলের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা সবকিছু ছেড়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। সেদিন তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময় এমন ছিলো, যে কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেছে সেটা বলতে সাহস পেত না।’
বৃহস্পতিবার (২০ মে) গণভবনে আয়োজিত গুণীজনদের হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে এ স্বীকৃতি পেলাম।’ করোনাকালেও উন্নয়ন কাজ চালু রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি বলেও জানান সরকারপ্রধান।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল) ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১' দেয়া হয়েছে।
‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’ প্রাপ্তরা হলেন-স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টার, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান বাবু, প্রয়াত এ কে এম বজলুর রহমান ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ। সাহিত্যে পেয়েছেন কবি মহাদেব সাহা। সংস্কৃতিতে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ পেয়েছেন চলচ্চিত্রকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও নাট্যজন আতাউর রহমান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী এবং সমাজসেবা বা জনসেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।
এছাড়া, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবার পুরস্কার পেয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার