নতুন বাজেটে সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্ত শিথিল হচ্ছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১৭, ২০২৩, ০১:৩০ এএম

নতুন বাজেটে সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্ত শিথিল হচ্ছে

সঞ্চয়পত্র কেনায় পূর্ববর্তী অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন এর কপি দেখানোর শর্তে শিথিলতা আসতে পারে আগামী অর্থবছরের বাজেটে। 

সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শর্তানুযায়ী আগ্রহী ক্রেতা পাঁচ লাখ টাকার সীমা পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন সাবমিশন এর রিসিপ্ট কপি দেখানো থেকে অব্যাহতি পান। আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এ সীমা ৮ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সুত্রে জানা গেছে। 

ফলে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীগণ রিটার্ন জমা দেয়া ছাড়াও সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। সাধারনত নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবার নিরাপদ বিনিয়োগ ও মূনাফা পেতে সঞ্চয়পত্রের উপর আবারো নির্ভর করবেন। এতে সরকারের অভ্যন্তরীন রিসোর্স পেতে সহজ হবে।

আয়কর রিটার্ন দেখানোর শর্তের কারনে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমান কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকারের রাজস্ব আদায় সংস্থার এ শর্ত শিথিল করা হচ্ছে বলে সুত্র জানিয়েছে। 

দেশে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিবার তাদের জমাকৃত অর্থ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে সংসারের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। 

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানো হচ্ছে বেশি। দেশে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের কেনা সঞ্চয়পত্র ভেঙে সংসারের খরচ চালাচ্ছেন অনেকে। 

পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বেচাকেনা সমন্বয় করে সঞ্চয়পত্রের প্রকৃত বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা। সরকার ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে পেয়েছিল।

চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে ভাঙানোর হার বেশি হওয়ায় প্রকৃত বিক্রি নেতিবাচক হয়ে পড়েছে।

 

সরকার বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র,  তিন মাস অন্তর মূনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার ও পেনশন সঞ্চয়পত্র নামে বিভিন্ন সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে থাকে।

Link copied!