বাজেট : কোভিড তহবিলের পর গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৭, ২০২১, ০৬:৫৭ পিএম

বাজেট : কোভিড তহবিলের পর গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ছে

করোনা মোকাবেলায় এবছরও নির্দিষ্ট তহবিল থাকবে আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে। তবে ওষুধ কাঁচামাল উৎপাদন ও গবেষণা খাতে বিশেষ সহায়তার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

কোভিড তহবিলের পাশাপাশি বরাদ্দ বাড়ছে 

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এ বছরও ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল থাকছে। এছাড়া টিকা আমদানি, রোগ নিয়ে গবেষণা, টিকা উৎপাদন এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি আমদানিতে সরকারকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুসারে, অনুন্নয়ন ব্যয় এবং করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয় যোগ করলে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৭৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

জোর প্রদান করা হবে গবেষণায়

করোনাসহ ভাইরাসজনিত রোগের চিকিৎসা সহজ করতে চিকিৎসা গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো হবে। এদিকে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদিত হলেও ৯৭ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করা লাগছে। ওষুধ কোম্পানিগুলো ভ্যাকসিন, ক্যান্সারের প্রতিষেধক, ইনসুলিনসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করছে। দেশে এসব ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হলে তা আরও সহজলভ্য হতো। যার ফলে এই কাঁচামাল দেশেই উৎপাদন করার পাশাপাশি গবেষণা করে ওষুধ ও টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আনা জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করা হয়। এ কারণে ওষুধ উৎপাদনে গবেষণা ও এ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে বিশেষ সহায়তা দেয়া হবে এবারের বাজেটে। 

করোনা সংক্রান্ত খাতে কর মওকুফ 

ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ প্রতিরোধে জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জামাদি আমদানি আরও সহজ করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে দুই ধাপে প্রায় ৪৬ টি পণ্যের কর সাময়িকভাবে মওকুফ করা হয়েছে। করোনা রোগীর সেবা দিতে গিয়ে অনেক সময় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মারা যাচ্ছেন। এসব পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টিও আগামী বাজেটেও রাখা হচ্ছে।

ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিতে অগ্রিম অর্থ

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ আমদানির জন্য পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা এই পরিমাণ অন্য বিদেশী মুদ্রার অগ্রিম প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন রয়েছে। জুন মাসে এই অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জামাদি আমদানির জন্য রিপেমেন্ট গ্যারান্টি ছাড়াই পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বা এই পরিমাণ অন্য বিদেশী মুদ্রার অগ্রিম প্রদান ‘তাৎক্ষণিক কার্যকরের’ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কিত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণ আমদানির জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই অনুমোদনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে। প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বাড়ায় স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নতুন উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে আক্রান্ত ও সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশেও করোনা নিয়ে অস্থিরতা বাড়ছে।

Link copied!