বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলেও আপাতত দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস)।
গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম দুই শতাংশের ওপর কমায় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪০ ডলারের ওপর কমে ১৯৫০ ডলারের নিচে নেমেছে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম না কমানোর যুক্তি তুলে ধরে বাজুস সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সর্বশেষ যখন স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছি, সে সময় পরিকল্পনা ছিল ভরিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা বাড়ানোর। কিন্তু বৈশাখ ও ঈদের কথা চিন্তা করে দেড় হাজার টাকার মতো বাড়ানো হয়েছে। তাই বিশ্ববাজারে দাম কমলেও আমরা এখনই স্বর্ণের দাম কমানোর চিন্তা করছি না।”
ডলারের দাম হু হু করে বাড়ছে-উল্লেখ করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এই নেতা আরও বলেন, “বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামেও বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। স্বর্ণের বাজার কোন দিকে যাচ্ছে এ নিয়ে সবাই কনফিউজড। আমাদের ক্রেতারাও কনফিউজড। এবার ঈদকেন্দ্রিক বিক্রি জমে ওঠেনি।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার প্রথম সপ্তাহেই বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ৮২ দশমিক ৪৮ ডলার বেড়ে যায়। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৭০ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে উঠে যায়।
এর ফলে গত ৩ মার্চ থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ২৬৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৯১ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ৭৬৬ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩ হাজার ৪২১ টাকা।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর পর এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। ফলে ৯ মার্চ দেশের বাজারে আবার বাড়ানো হয় স্বর্ণের দাম। এ দফায় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৭৯ হাজার ৩১৫ টাকা।