জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস-এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হবে কি-না, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, “এ মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো সতর্কবার্তা নেই। আমাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও গুরুতর রূপ ধারণ করেনি। তাই পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।”
এদিকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রোফেসর ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, “এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। ভর্তি পরীক্ষা পিছানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নির্ভর করবে সার্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির ওপর। যদি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়, তবে সেই অনুযায়ী আমরা আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনো সতর্কবার্তা পাওয়া যায়নি।
“এখন পর্যন্ত এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ গুরুতর রূপ ধারণ করেনি। সুতরাং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। যদি পরবর্তীতে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে কোনো নতুন নির্দেশনা আসে, তবেই আমরা নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা এবং পরিস্থিতির উন্নতির দিকে লক্ষ্য রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান ড. সায়মা হক বিদিশা।
এদিকে দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস-এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো রোগী মারা গেছেন। মৃত সানজিদা আক্তার নামের এই নারী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি অন্য সংক্রমণেও আক্রান্ত ছিলেন।
রাজধানীর সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে প্রথম আলোকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আক্রান্ত ওই নারীর বাড়ি নরসিংদী। ৯ জানুয়ারি তার শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী এইচএমপিভির পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য একটি সংক্রমণেও আক্রান্ত ছিলেন। তার পরিস্থিতি কিছুটা জটিল ছিল।ওই নারী কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা হলেও থাকতেন নরসিংদীতে। সেখানেই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।