পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

রাবি প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০২:২৬ এএম

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজি ভবনে সভাপতির কক্ষসহ বিভাগের অফিস কক্ষ এবং পরীক্ষা কক্ষে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করে ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থীরা। 

এর প্রায় আধা ঘন্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ এবং প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যদের আশ্বাসে তালা খুলে দেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সকালে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু দুপুর ১২ টায় ওই বর্ষের ১৩ জনকে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে বিভাগের শিক্ষকরা। এতে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরীক্ষা কক্ষে তালা লাগিয়ে দরজার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তারা ওই কক্ষের জানালার কাচঁও ভাঙচুর করে।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা, সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নতুন করে মাস্টার্স পরীক্ষা ঘোষণা করা, ক্লাসের জন্য নির্ধারিত সময়সূচির তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা না করে শিক্ষকদের খেয়ালখুশিমত ক্লাস নেয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করাসহ ৭টি দাবি তুলে ধরেন।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পর্যাপ্ত ক্লাস না হওয়ায় বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ডিস-কলেজিয়েট ও নন-কলেজিয়েট হয়েছেন। বিভাগটিতে প্রায় ৪৪ জন শিক্ষার্থী আছেন। এরমধ্যে মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী কলেজিয়েট হয়েছেন। বাকি ৯ জন শিক্ষার্থী নন কলেজিয়েট এবং ৩১ জন শিক্ষার্থী ডিস কলেজিয়েট হয়েছেন। মাস্টার্সের থিসিস সহ মোট ১১ কোর্স। সিলেবাস না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা জানেন না কোর্সের ক্লাস সংখ্যা। এমনকি কোন কোন শিক্ষক ১ টি কোর্স নিয়েই কোর্স শেষ করেছেন।  

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈষম্য করে ডিস-কলেজিয়েট দেখিয়ে তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনকে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও ৯ জন নন কলেজিয়েট। আমাদের ক্লাস না নিয়ে একদিনে ১৫–২০ দিনের এটেনডেন্স দেয়। আমাদের কোনো সিলেবাস দেয় নি।

তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি বিএনপির রাজনীতি করে, তিনি ক্লাস বাদ দিয়ে ঢাকায় বিএনপির সম্মেলনে যান। এ সময় তারা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিভাগের অ্যাকাডেমিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিস-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীরা মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।

Link copied!