চলমান সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আন্দোলনের কারণে রাজশাহী দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করেনি শিক্ষক সমিতি।
শনিবার (৬ জুলাই) রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। যদি আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করি সেটা অন্যায় হবে। অনুষ্ঠানে অংশ না নিতে সমিতির পক্ষ থেকে সব শিক্ষককে আহ্বান জানিয়েছি। আমাকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কমিটিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমি সেখানেও অংশগ্রহণ করিনি।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর একই স্থানে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়। পরে একই স্থান থেকে সাড়ে ১০টায় শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর ১১টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ছাড়া কর্মসূচিতে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকলেও শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, “প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। আমরা ছোট পরিসরে কর্মসূচি পালন করছি।”
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন সবগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক।