রুমে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় সাংবাদিককে মারধর করলো ছাত্রলীগ নেতা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৩০, ২০২২, ১০:৩০ পিএম

রুমে সিগারেট খেতে নিষেধ করায় সাংবাদিককে মারধর করলো ছাত্রলীগ নেতা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস হলের টিভি রুমে সিগারেট খেতে না করায় এক সাংবাদিকের বুকে লাথি মেরেছে উক্ত হলের ছাত্রলীগ নেতা। গতকাল রবিবার রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের টিভি রুমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম শাহাবুদ্দিন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন এবং বিডি মর্নিং‍‍`র রাবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাজল। কাজল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, টিভি রুমে আইপিএল খেলা দেখার সময় কাজল ধুমপান করছিল। তখন শাহাবুদ্দিন তাকে নিষেধ করলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কাজলসহ কয়েকজন শাহাবুদ্দিনকে মারধর শুরু করে। এতে শাহাবুদ্দিন আহত হন। এবিষয়ে মুঠোফোনে হল প্রাধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

এদিকে আবাসিক হলে সাংবাদিকে এমন মারধরের ঘটনায় তৎক্ষনাৎ প্রতিবাদ জানায় ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত সাংবাদিকরা। হলের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। 

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম ও অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ও ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

অবস্থানরত সাংবাদিকরা ছাত্রলীগের এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ৩-দফা দাবি পেশ করেন এবং আগামীকাল অফিস সময়ের মধ্যে প্রশাসনের নিকট থেকে সদুত্তর দাবি করেন। তাছাড়া পুনরায় অবস্থানের হুশিয়ারি দেন তারা।

৩-দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, গিয়াসউদ্দিন কাজলসহ তার দুজন সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, দায়িত্বে অবহেলা করায় হল প্রাধ্যক্ষেন পদ থেকে অব্যাহিত প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের উপর এমন ঘটনা নিরসনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা।

দাবির প্রেক্ষিতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার। এজন্য সার্বিক বিষয় নিয়ে আগামীকাল বসা হবে। আশা করি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান হবে।

Link copied!