নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গেলেও টেন্ডার জটিলতার কারণে মাধ্যমিক স্তরের বিপুল পরিমাণে বই এখনও ছাপা বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বছর প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে মোট ৩৪ কোটি ৬০ লাখের মত বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পহেলা জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতি বছর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হলেও এ বছর করোনার কারণে সেরকম উৎসব করে বই বিতরণ করা হয়নি।
চলতি সপ্তাহে ছাপানোর কাজ হবে
জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক উইং এর সদস্য প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ বছর বেশ কিছু সমস্যার কারণে বিনামূল্যে বিতরণ করার জন্য নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্তরে মোট ৯ কোটি ৯৮ লাখ নতুন বই বিনামূল্যে বিতরণ করার মাধ্যমে এই স্তরের শিক্ষার্থীদের কাছে শতভাগ বই পৌছে দেয়ার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে বিতরণ করার জন্য ২৪ কোটি ৭১ লাখ বইয়ের মধ্যে ছাপা ও বিতরণ করা হয়েছে ২১ কোটি ৯০ লাখের মত বই।
৩০ তারিখের পর শুক্র এবং শনিবার থাকায় সর্বশেষ রিপোর্ট এখনও নেয়া সম্ভব হয়নি। যে বইগুলো এখনও ছাপা ও বিতরণ বাকি রয়েছে সেগুলোর কাজ জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে এ কাজের সঙ্গে সংযুক্ত সবাই আশা করছেন বলে জানান তিনি।
টেন্ডার জনিত সমস্যায় বই ছাপা কার্যক্রম পিছিয়েছে
অন্যান্য বছর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই নতুন বই পৌঁছে গেলেও এ বছর বাকি প্রায় তিন কোটি নতুন বই ছাপা কেন সম্ভব হলো না জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, এ বছর বই ছাপার জন্য যে টেন্ডারগুলো আহ্বান করা হয়েছিলো, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো টেন্ডারের সময়সীমা বিভিন্ন সমস্যার কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। একই সাথে অনেকগুলো টেন্ডারের দর আমাদের আহ্বানকৃত দরের চেয়ে উচ্চমূল্যে হওয়ায় সেগুলো আবারও নতুন করে নিতে হয়েছে।
এই সমস্যার ফলে অন্যান্য বছরের মত যথাসময়ে এই বছর নতুন বই ছাপা এবং বিতরণ কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। তবে যে বইগুলো এখনও ছাপা ও বিতরণ করা বাকি তা এই সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও নিশ্চয়তা প্রদান করেন তিনি।
এদিকে এ বছর করোনার সংক্রমণ এড়াতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একেকটি শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভাগ করে একেক দিনে বই বিতরণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।