মহামারি শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার ডব্লিউএইচও সতর্কতা জারি করে বলেছে, ১১০টি দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ‘মহামারির রূপ বদল হচ্ছে, কিন্তু এখনও করোনা সংক্রমণ শেষ হয়নি। করোনা পরীক্ষা, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সংখ্যা কমায় আমাদের করোনা সংক্রমণ চিহ্নিতকরণে সমস্যা হচ্ছে। অর্থাৎ ওমিক্রন ও অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোকে চিহ্নিত করার কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিএ.৪ ও বিএ.৫ ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বিশ্বের ১১০টি দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বেই সংক্রমণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈশ্বিক হিসাবে মৃত্যুহার এখনও তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে থাকা ৬টি অঞ্চলের মধ্যে ৩টিতেই মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
করোনা ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ইস্যুতে গণমাধ্যমে দেওয়া ব্রিফিংয়ে গেব্রেয়াসুস কমপক্ষে ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত দেড় বছরে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ২০০ কোটিরও বেশি টিকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডব্লিউএইচওর প্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, নিম্ন আয়ের দেশগুলোর কয়েক লাখ মানুষ, হাজারো স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা টিকার বাইরে রয়েছেন। এর অর্থ হলো, তাঁরা করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
মাত্র ৫৮ শতাংশ দেশ ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে বলে জানান গেব্রেয়াসুস। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয় বলে জানান তিনি। উদাহরণ হিসেবে রুয়ান্ডার কথা বলেন তিনি। দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার হার ৬৫ শতাংশের নিচে।