পৃথিবীতে ৭ দশমিক ৫ ভাগ মানুষ দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভোগে। আর বাংলাদেশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ লাখ মানুষ শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম পর্যায়ে চলে গিয়েছে।
সোমবার বিশ্ব স্পাইন দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত শোভাযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
‘মুভ ইউর স্পাইন’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিউরোস্পাইন সোসাইটি অব বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার স্পাইনজনিত সমস্যার অপারেশন করতে হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ১ হাজার স্পাইনের অপারেশন হয়ে থাকে।
বিএসএমএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আখলাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন, বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্সের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘মেরুদণ্ডকে সুস্থতায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। মেরুদণ্ড আমাদের অমূল্য সম্পদ, এর যত্ন নিন। মেরুদণ্ড আছে বলেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি, মেরুদণ্ড আছে বলেই আমরা হাঁটতে পারি। বাংলাদেশের পাঁচ লাখ মানুষ গুরুতর মেরুদণ্ডের রোগে ভুগছে।’
সেমিনারের জানানো হয়, দুর্ঘটনাসহ নানাভাবে মানুষ মেরুদণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ঘাড়, পিঠের কোনো না কোনো সমস্যায় ভোগে। প্রায় ৫ লাখ মানুষ শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষম হয়ে যায়। যে মানুষটি কোমর বা মেরুদণ্ডের ব্যথায় হাঁটতে পারে না, তার দুর্বিষহ জীবনের কষ্ট দূরীকরণে পরিধি বাড়াতে হবে। এসব রোগে আক্রান্তদের দুর্বিষহ জীবনের কষ্ট লাঘবে এ-সংক্রান্ত সেবার পরিধি বাড়াতে হবে, নিতে হবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।