তাপদাহ থেকে সুরক্ষায় জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ

জাতীয় ডেস্ক

মে ৫, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

তাপদাহ থেকে সুরক্ষায় জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাপদাহ থেকে সুরক্ষায় জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

তাপদাহ থেকে সুরক্ষায় কী কী করতে হবে- সেটা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউনিসেফের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটি প্রকাশ করে। এতে ১৭ অধ্যায়ের মাধ্যমে গরম থেকে কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, কেউ গরমজনিত অসুস্থতার শিকার হলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কী করতে হবে, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নেবেন, তাও উপস্থাপন করা হয়েছে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাপদাহ থেকে সুরক্ষায় জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচনের পর বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ছবি: সংগৃহীত

“হাসপাতালগুলো ফাঁকা রাখতে হবে”
জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, “এই গরমের মধ্যে রোগী ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। তাই গরমে কী করা যাবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।”

“সাড়ে ৩ কোটিরও বেশি শিশু তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউনিসেফ বাংলাদেশের উপ-প্রতিনিধি এম্মা ব্রিগহাম বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ দেশের সাড়ে ৩ কোটিরও বেশি শিশু তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হবে। এর আগে ২০২০ সালে ২৬ লাখ শিশু এই ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল।”

অনুষ্ঠানে গাইডলাইনটির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, “তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি হলে শরীর অনেক সময় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে বিভিন্ন অসুস্থতা দেখা দেয়। দিনের যে সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকে, সে সময়ে বাইরে বের না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।”

Link copied!