বেটা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২৪, ২০২২, ১২:৩৭ এএম
করোনাভাইরাস সংক্রমণ চলার মধ্যে ছড়িয়ে পড়া আরেক ভাইরাস মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত কিছু কিছু রোগীর জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে বলে মন্তব্য কররেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস। তিনি মাঙ্কিপক্সকে ‘শনাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি’ হিসাবেও বর্ণনা করেছেন।
রবিবার পর্যন্ত ইউরোপ, উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চলের ১২টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট গ্লোবাল হেলথের তথ্য অনুয়ায়ি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, পর্তুগাল, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১১১ জন মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে সংক্রমিত অথবা সন্দেহভাজন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এসব দেশে শনাক্ত হওয়া মাঙ্কিপক্স কোন প্রজাতির তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে যুক্তরাজ্যে আক্রান্তদের মধ্যে ‘মধ্য আফ্রিকান প্রজাতি’ শনাক্ত হয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তা নিশ্চিত করেছে।
নতুন এই ভাইরাস মাঙ্কিপক্স নিয়ে মহামারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সংক্রমণ সাধারণত একেবারে বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি) মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সকলকে সতর্ক করে তারা বলেছেন, পর্তুগাল ও স্পেনের প্রাদুর্ভাবের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ও অপরিচিত রোগ। ‘মাঙ্কিপক্স ভাইরাস’ এ রোগের জন্য দায়ী।
তাদের মতে, পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার উষ্ণ ও আর্দ্র বনাঞ্চলের বানররা ছিল এ রোগের প্রথম শিকার। তারপর একসময় ধীরে ধীরে মানবদেহেও সংক্রমণ ঘটায় মাঙ্কিপক্স। এটি দেখতে গুটিবসন্তের প্রজাতির মতো। এই প্রজাতির মধ্যে রয়েছে ভেরিওলা ভাইরাস; যা গুটিবসন্তের কারণ, ভ্যাক্সিনিয়া ভাইরাস ও কাউপক্স ভাইরাস।
ডব্লিউএইচও বলেছে, এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পরীক্ষা করে মাঙ্কিপক্সের দু’টি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর একটি ‘কঙ্গো প্রজাতি’ এবং অপরটি ‘মধ্য আফ্রিকান প্রজাতি’
নতুন ভাইরাস মাঙ্কিপক্স কতটা প্রাণঘাতী, তাই নিয়ে কাজ করছেন দেশ-বিদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ‘কঙ্গো প্রজাতি’র প্রাদুর্ভাব অত্যন্ত গুরুতর। ওই অঞ্চলে কঙ্গো প্রজাতিতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১০ শতাংশেরও বেশি। ভয়াবহ হচ্ছে, এতে বাচ্চাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে, ‘মধ্য আফ্রিকান প্রজাতি’র তীব্রতা তুলনামূলক কম। এই প্রজাতিতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ১ শতাংশের মতো।
