এপ্রিল ২৩, ২০২২, ১১:৪০ এএম
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচন রোববার (২৪ এপ্রিল) । ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগমুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুই প্রার্থী ইমানুয়েল ম্যাকরণ ও মেরিন লি প্যান।
প্রচারণায় গিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর তীক্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে দুই প্রার্থীকেই। জীবনযাপনের মাত্রাতিরিক্ত খরচ বৃদ্ধিকে মূলত বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছেন লি প্যান। জ্বালানী তেল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামের বৃদ্ধি ঠেকাতে ম্যাকরণ প্রশাসনের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে দেখা গেছে প্যানকে। জয়ী হলে কি করবেন সে বিষয়গুলো ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, নির্বাচিত হলে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করে প্রথমেই দ্রব্যমূলের দাম কমাতে তার সরকার কাজ করবে। এছাড়া অভিবাসন ইস্যু ও জনসমুখে মেয়েদের মাথার স্কার্ফ পরা নিষেধ করতে গণভোট আয়োজন করার কথা বলেছেন লি প্যান। প্রচারণায় গিয়ে তিনি ভোটারদের বলছেন, হয় ফ্রান্স, না হয় ম্যাকরণ-যেকোন একটিকে তাদের বেঁছে নিতে হবে। ম্যাকরণ অবশ্য লি প্যানের কট্টরপন্থী নীতির বিরোধিতা করে বলেছেন, ফ্রান্সের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়।
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট ম্যাকরণের বিরুদ্ধে ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে। ২৩ শতাংশ ভোট পাওয়া লি প্যান বিরোধী ভোটারের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবুও নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণে অধিকাংশ ভোটারকে দ্বিতীয় ধাপে এই দুইজনের একজনকেই ভোট দিতে হচ্ছে। যে কারণে অনেক ভোটারই কাউকেই ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১০ এপ্রিল প্রথম দফা নির্বাচনে ইমানুয়েল ম্যাকরণ সবোর্চ্চ ২৭ শতাংশ ভোট পান। এরপরই দ্বিতীয় সবোর্চ্চ ২৩ শতাংশ ভোট পান লি প্যান। লি প্যানের কাছাকাছি ২২ শতাংশ ভোট পান জিয়ান লিচ মিলানচন। তবে নির্বাচনী ব্যবস্থায় চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিতে না পারা মিলানচনের এই সিদ্ধান্তহীনতায় থাকা ভোটারদের মন জয় করাটাই মূল কাজ ম্যাকরণ ও প্যানের।
দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ব্যবস্থা অনুযায়ী কোন দল প্রথম দফায় ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফা ভোটের আয়োজন করা হয়। শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে অনুষ্ঠিত এ ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। ইউরো নিউজ জানিয়েছে, ভোটের সর্বশেষ জরিপ বলছে ম্যাকরণ ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। প্রতিদ্বন্দ্বি লি প্যান পেতে পারেন ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। এর আগে ২০১৭ সালের নির্বাচনে ম্যাকরণ ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে লি প্যানকে পরাজিত করেছিলেন। সেবার প্যান পেয়েছিলেন ৩৩ দশমিক ৯০ শতাংশ ভোট।