কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ; ২৭ বছরের দণ্ড

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ৩, ২০২৩, ০১:৩৮ পিএম

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ; ২৭ বছরের দণ্ড

রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কম্বোডিয়ার বিরোধীদল কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির নেতা কেম সোখাকে ২৭ বছর গৃহবন্দি থাকার দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন কেম সোখার আইনজীবী। 

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মার্চ) দেশটির এ রায় দিয়েছেন নম পেন মিউনিসিপ্যাল আদালত।

নির্বাচনে দাঁড়ানো বা ভোট দেওয়ার ব্যাপারেও কেম সোখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। 

হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকদের একজন। 

আগামী জুলাই মাসে কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সেই নির্বাচনে অংশ নেবেন হুন সেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, তিনি তাঁর বড় ছেলে হুন মানেটের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন। 

২০১৩ সালের এক ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৯ বছর বয়সী কেম সোখা বলছেন, তিনি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছেন। ওই ভিডিওর ভিত্তিতে ২০১৭ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কেম সোখার আইনজীবী বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা নেই এবং এ মামলা ভিত্তিহীন। 

কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডব্লিউ প্যাট্রিক মারফি বলেছেন, কেম সোখার বিরুদ্ধে মামলাটি ন্যায় বিচারের পরিপন্থী।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এশিয়ার ডেপুটি ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেছেন, ‘কেম সোখার বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছাড়া আর কিছু নয়। কেম সোখাকে কারাগারে পাঠানোর অর্থ কেবল তার রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করাই নয়, বরং জুলাই মাসের সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাবনাকেও ধ্বংস করা।’ 

কেম সোখা একজন প্রাক্তন মানবাধিকার আইনজীবী। তিনি কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির নেতৃত্ব দেন। কেম সোখার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছিল, আগামী নির্বাচনে তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে পরাজিত করতে পারেন। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ দলের বেশির ভাগ নেতাকে বিভিন্ন মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং অনেক নেতাকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।

Link copied!