প্যাংগংয়ের পর এবার দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে শনিবার সকালে ১৬ ঘন্টাব্যাপী চীন-ভারত দশম দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার মোলডো সীমান্তের চীন অংশে এ বৈঠক হয়। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন ও চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ শিনজিয়াং প্রদেশের কমান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।
লাদাখ সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা নিয়ে দুই পক্ষই একমত। তবে দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। আর তাই আরেক দফা বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেপসাংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন হেলমেট টপ এবং ইয়েলো বাম্পের মতো এলাকাকে চুক্তির আওতায় না এনে আগেভাগে শুধুমাত্র প্যাংগং থেকে কেন সেনা সরাতে রাজি হল ভারত, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকে পারস্পরিক সম্মতিতেই হেলমেট টপ এবং ইয়োলে বাম্প অনধিকৃত জায়গা বলে চিহ্নিত ছিল। সেখান থেকে আগে চীনা বহিনীকে সরানো উচিত ছিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, দেপসাং সমস্যা নিয়ে আলাদা ভাবে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।
লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের নয়মাস পর সেনা প্রত্যাহারে একমত হয় দুইদেশ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং সেনা প্রত্যাহার করেছে দুইপক্ষ।
সূত্র: দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার